বিস্তারিত সংবাদ
অনলাইন সাংবাদিকতাই আগামীর সম্ভাবনাময়ী পেশা। কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের আনন্দ ভ্রমণে বান্দরবান নির্বাহী কঃর্তাঃ প্রিন্স
অনলাইন সাংবাদিকতাই আগামীর সম্ভাবনাময়ী পেশা। হয়তো প্রিন্ট পত্রিকাগুলো জাদুঘরে চলে যাবে। আগামীতে অনলাইনই টিকে থাকবে। অনলাইন গণমাধ্যমকে নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণের প্রথম দিনের সভায় বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পেটে ক্ষুধা থেকেই ‘ইয়েলো জার্নালিজম’ তৈরী হয়। সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরো সতর্ক হতে হবে।
জাতি এখন অনেকটা ফেইসবুক বিশ্বাসী। তাই ফেসবুক ব্যবহারেও সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান প্রধান অতিথি।
কক্সবাজারের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ইউএনও মোঃ নোমান হোসেন বলেন, আগামীতে পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবে কক্সবাজার। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ দেখলেই তা বুঝা যায়।
২৮ জানুয়ারী রাতে বান্দরবান পর্যটন মোটেল কনফারেন্স হলে কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের এই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রোকমুনুজ্জামান রনি এবং কক্সবাজারের বিশিষ্ট লেখক, প্রাবন্ধিক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট আনম রফিকুর রশীদ।
কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের এবারের পিকনিক প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘পাহাড়ি ছায়ায় নদীর তীরে।’
সভায় কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আকতার চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকতা সাধারণ পেশা নয়, এটি উচ্চ মার্গীয় একটি বিষয়। মানুষের জন্যই আমাদের প্রচেষ্টা। সাংবাদিকতায় কোন রঙ নেই। যা সত্য তা জাতির সামনে তুলে ধরাই আমাদের কাজ।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির মানুষ অনলাইনকে অবহেলা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করে বক্তব্য দেয়। অথচ অনলাইনের একটা রিপোর্টে পুরো বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। আগামীর যুগ অনলাইনের। আমাদের অবজ্ঞার সুযোগ থাকবেনা।
কারণ, বর্তমান সময়ে অনলাইন সাংবাদিকতা মানেই স্মার্ট সাংবাদিকতা। গ্লোবাল জার্নালিজম ট্রেডিশনাল জার্নালিজমের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আমাদের একটা রিপোর্ট পুরো রাষ্ট্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সত্য ও কল্যাণমুখী সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
দেশের অনলাইন জগতের অন্যতম আইডল আকতার চৌধুরী বলেন, আগামীতে কাগজের পত্রিকা থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। এই জায়গা দখল করে নেবে অনলাইন পত্রিকা। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। মিথ্যা কোন তথ্য দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, আগামীতে অনলাইনই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে। সরকার সহযোগিতা করলে সরকারকে বিশাল অংকের রেমিট্যান্স আয় হবে এ খাত থেকে। গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্তকারী গুটি কয়েক চিহ্নিত ভুঁইফোঁড় অনলাইন বাদ দিয়ে সঠিক অনলাইন পোর্টালগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা দরকার।
অনলাইন গণমাধ্যমগুলো দেশের অন্তত এক লাখ যুবক ও লেখকের রোজগারের পথ সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন আকতার চৌধুরী।
কক্সবাজার ভিশন ডটকম এর সম্পাদক, দৈনিক সৈকত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান আনছার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় কক্সবাজারে অনলাইন প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্সকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়া সংবাদ পরিবেশনে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জেলার উল্লেখযোগ্য ২১টি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে রেফেল ড্র বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এ সময় কক্সবাজার জেলার অনলাইন সাংবাদিকদের দুই দিনব্যাপী পিকনিকে অংশ নেয়া বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।